Jump to content

সোশ্যাল মিডিয়ায় ১৫ বছরের ছেলেদের পিক: বর্তমান ট্রেন্ড ও সচেতনতা


FoodrFitness

Recommended Posts

বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা প্রযুক্তির সঙ্গে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে যে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা টিকটকে ছবি শেয়ার করার প্রবণতা কিশোরদের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এর মাঝে 15 বছরের ছেলেদের পিক নিয়ে আলাদা করে একটি ট্রেন্ড লক্ষ্য করা যায়। এই বয়সে ছেলেরা সাধারণত নিজেদের প্রথম স্টাইল, ফ্যাশন এবং আত্মপরিচয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকে। ফলে তারা নিজেদের পছন্দের পোশাক, হেয়ারস্টাইল, এক্সপ্রেশন বা ব্যাকগ্রাউন্ডে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পিক তোলে ও তা শেয়ার করে।

এই বয়সে নিজেদের ‘কুল’ বা ‘স্টাইলিশ’ প্রমাণ করার একটি প্রবণতা কাজ করে। অনেকে জনপ্রিয় অ্যাপ ব্যবহার করে ছবি এডিট করে, ফিল্টার যোগ করে, এমনকি ক্যাপশন দিয়েও নিজেদের ছবিকে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করে। বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা, লাইক-কমেন্টের সংখ্যা নিয়ে আগ্রহ, কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ার বাড়ানোর আকাঙ্ক্ষা থেকেও এই ছবি শেয়ার করার ঝোঁক বাড়ে।

তবে এতটুকু বলার পরেও কিছু সতর্কতা খুব জরুরি। এই বয়সের কিশোররা অনেক সময় বুঝে না অনলাইনে তাদের ছবি শেয়ার করার পর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে। অনেক সময় ছবি ভুল মানুষের হাতে পড়লে তা নিয়ে মজা করা, কটাক্ষ বা সাইবারবুলিংয়ের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পরিবার ও অভিভাবকদের উচিত কিশোরদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা, তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার সম্পর্কে সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া।

একজন ১৫ বছরের ছেলে তার পছন্দমতো ছবি তুলবে এবং নিজের ভালো লাগা প্রকাশ করবে – এটাই স্বাভাবিক। তবে তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে, এই ডিজিটাল জগতে কীভাবে নিজের পরিচয় গড়ে তুলতে হয় সম্মান, সচেতনতা ও নিরাপত্তার সঙ্গে। ছবি পোস্ট হোক আনন্দের, কিন্তু সেটি যেন না হয়ে ওঠে ভবিষ্যতের অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকির কারণ।
 

Link to comment
Share on other sites

Please sign in to comment

You will be able to leave a comment after signing in



Sign In Now
×
×
  • Create New...