Jump to content

জান্নাতি ২০ সাহাবীর নাম: সাহাবায়ে কেরামের জান্নাতের সুসংবাদ


Banglablogpost

Recommended Posts

ইসলামের ইতিহাসে সাহাবায়ে কেরাম (রাযি.) হলেন সেই মহান ব্যক্তিত্বগণ, যারা সরাসরি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহচর্য লাভ করেছেন এবং ইসলামের জন্য নিজেদের জীবন, সম্পদ, আত্মত্যাগ ও ঈমান দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাদের মধ্যে এমন বিশিষ্ট কিছু সাহাবী রয়েছেন, যাদেরকে রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজ মুখে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। মুসলিম উম্মাহর জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ব্যক্তিগণ আমাদের জন্য আদর্শ এবং তাঁদের জীবনী আমাদের ঈমান ও আমলের উন্নয়নে অনুপ্রেরণা জোগায়।

এই প্রসিদ্ধ সাহাবীগণদের মধ্যে দশজনকে একত্রে “আশারায়ে মুবাশশারা” বলা হয়, যাদেরকে জীবিত অবস্থায় জান্নাতের গ্যারান্টি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের নাম হলো: আবু বকর (রাঃ), উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ), উসমান ইবন আফফান (রাঃ), আলী ইবন আবু তালিব (রাঃ), তালহা ইবনে উবাইদুল্লাহ (রাঃ), জুবাইর ইবনে আওয়াম (রাঃ), আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রাঃ), সাঈদ ইবনে যায়েদ (রাঃ), সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাঃ), এবং আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রাঃ)।

এছাড়াও অন্যান্য সাহাবীগণ যেমন খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রাঃ), সালমান ফারসি (রাঃ), বিলাল ইবনে রাবাহ (রাঃ), আবু হুরায়রা (রাঃ), আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ), উম্মে সালামা (রাঃ), ফাতিমা (রাঃ), হাসান ও হুসাইন (রাঃ) প্রমুখ সাহাবী এবং সাহাবিয়াতগণ জান্নাতের যোগ্যতা অর্জন করেছেন তাঁদের ঈমান, ত্যাগ ও সাধনার মাধ্যমে।

জান্নাতি ২০ সাহাবীর নাম শুধু একটি তালিকা নয়, এটি মুসলিম জাতির রোল মডেল। তাঁদের জীবনাদর্শ, সাহসিকতা, আল্লাহর প্রতি ভরসা ও রাসূল (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসা আমাদের জন্য চিরন্তন শিক্ষার উৎস। তাঁদের জীবন অধ্যয়ন করে আমরা শিখতে পারি কীভাবে প্রকৃত মুসলমান হয়ে ওঠা যায় এবং জান্নাতের পথে চলা যায়।
 

Link to comment
Share on other sites

Please sign in to comment

You will be able to leave a comment after signing in



Sign In Now
×
×
  • Create New...